লগ ইন
 

Logo

Logo

Good Neighbors সম্পর্কে

গুডনেইবারস বাংলাদেশ (জিএনবি) একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা। আমাদের মিশন হলো শিশু উন্নয়ন, শিক্ষা, কমিউনিটি উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবা, যুব উন্নয়ন, গ্রীন গ্রোথ এবং ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠির বিশেষ করে শিশুদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করা। দুর্দশাগ্রস্ত শিশুদের মনে আশার আলো ছড়াতে জিএনবি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে এর কার্যক্রম শুরু করে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা গ্রাম এবং শহরের শিশুদের ‘প্রাথমিক শিক্ষা’ এবং বস্তি এলাকায় ‘মা ও শিশুদের যত্ম’প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ শুরু করি। বর্তমানে আমরা সারাদেশ জুড়ে ১৩টি প্রকল্প এলাকায় প্রায় ১৭,০০০ শিশুদের এবং ১০,০০০ পরিবারের মাঝে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

গুডনেইবারস্ বাংলাদেশ দুটি জনগোষ্ঠীকে বিপদাপন্ন বলে বিবেচনা করে তার মধ্যে প্রথমটি হলো শিশু এবং দ্বিতীয়টি নারী। শিশুই গুডনেইবারস্ বাংলাদেশ-এর সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র এবং শিশু উন্নয়ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয় সমাজ উন্নয়ন তথা কমিউনিটি ডিভেলপমেন্ট কর্মসূচি।

শিশুদের পাশাপাশি জিএনবি নারী কে একটি কর্মক্ষম ও অধিকার সচেতন জনগোষ্ঠী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে লক্ষিত কমিউনিটিকে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রস্তুত করেতুলতে চায়। জিএনবি দুর্দশাগ্রস্থ নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করে আসছে। স্থানীয় প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে ব্যাক্তি মালিকানা বৃদ্ধি করে স্থানীয় জনগোষ্ঠির আর্থ সামাজিক পরিবর্তন করে যাচ্ছে। পাশাপাশি জিএনবি নারীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার করে থাকে কারন জিএনবি বিশ্বাস করে একমাত্র দক্ষতা উন্নয়ন বা যোগ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই দারিদ্র চক্র থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।

 

জন্মকথা

গুড নেইর্বাস বাংলাদেশ (জিএনবি) একটি আন্তর্জাতিক সে¦চ্ছাসেবী বেসরকারী সংগঠন হিসাবে বাংলাদেশ এনজিওবিষয়ক অধিদপ্তর হতে নিবন্ধনকৃত এবং এটি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে এর মা ও শিশুদের সেবা প্রদানের মাধ্যমে এরকার্যক্রম শুরু করে। এর কার্যক্রম মা ও শিশুদের সেবা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে শিশু অধিকার, শিশু স্বাস্থ্য, শিশুদেরজন্য ভবিষ্যৎ সঞ্চয়, নারী উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী স্বাস্থ্য, সমবায়ভিত্তিক আয়বৃদ্ধিমূলক প্রকল্প, যুব উন্নয়নএবং গ্রীন গ্রোথ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে প্রকল্প এলাকাগুলোতে অসহায় ও দরিদ্র শিশু এবং তাদের পরিবারের মাঝেঅর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সাধনে বিস্তৃতভাবে কাজ করে। বর্তমানে জিএনবি ১৩ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন  করছে।১৯৯৭ সালে জিএনবি চালু করে মিরপুর ’মা ও শিশু যত্ন কেন্দ্র এবং সিরাজগঞ্জ ’কৃষি প্রকল্প’। ১৯৯৮ সালে শুরু করেশিশুদের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে জিএনবি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে তৈরি করে ’ঘাটাইল সু প্রতিবেশি স্কুল’। শিশুদের আবাসিকসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০০ সালে চালু করে ’হোস্টেল’ কার্যক্রম। এর পরবর্তী বছরেই জিনবি তার কার্যক্রমের সাথে যুক্তকরে স্বেচ্ছাসেবকদের। ২০০৩ সালে ঘাটাইলে এবং সিরাজগঞ্জে তৈরি করে ২টি নিজম্ব ভবন। প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানেরমধ্য দিয়ে ২০০৬ চালু হয় ’মিরপুর স্কুল প্রকল্প’ এবং এর পরবর্তী বছরেই শিশুদের শিক্ষা ও সু স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতেটাঙ্গাইলের সখিপুরে চালু করে ’সখিপুর প্রকল্প’। ২০০৯ সালে একই সাথে বাংলাদেশের চারটি জেলায়; দোহার,মৌলভিবাজার, ঠাকুরগাঁও এবং ফেনীতে আরো সমপ্রসারিতভাবে জিএনবি তার কার্যক্রম শুরু করে। ২০১১-২০১৩ সালজিএনবির জন্য অনেক তাৎপর্য পূর্ন এবং ঘটনাবহুল সময়। এই সময়ে জিএনবি’র কার্যক্রমগুলো অতীতের তুলনায়আরো বেশি সাংগঠনিক রুপ পায়। ২০১২ সালে পরিচালিত ১১টি প্রকল্পে ‘শিশু পরিষদ’ গঠনের মাধ্যমে জাতিসংঘঘোষিত শিশু অধিকার সনদ (সিআরসি) এর চারটি মূলনীতি যথা বেঁচে থাকার অধিকার, উন্নয়নের অধিকার, সুরক্ষারঅধিকার এবং অংশগ্রহনের অধিকার বাস্তবায়নের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল এই আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী উন্নয়ন সংস্থাটি। শিশু পরিষদ গঠনের মাধ্যমে সংস্থাটি ২০১৫ সালের মধ্যে  এর কর্ম এলাকাগুলোতে শতভাগজন্মনিবন্ধন এবং বাল্যবিবাহ বন্ধের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে এবং ২০১৩ সালে এসে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৭% অর্জিতহয়েছে। ২০১২ সালে ১১টি প্রকল্পে ’সমবায়–সমিতি’ গঠনের মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে এবং একই বছরেসুরক্ষিত ও টেকসই পরিবেশের জন্য ’গ্রীন গ্রোথ’ কার্যক্রম শুরু করে। যার মাধ্যমে জিএনবি প্রকল্প এলাকার মানুষেরমাঝে সোলার প্যানেল এবং বায়োগ্যাস প্লান্ট বিতরন করবে।