লগ ইন
 

Logo

পি বি পি এস এর সেবা সমূহ

Our Acheivements

Achievement & Success of Protibondhi Biddaloy And Punorbasion Songhostha

 
Bilkis Ara Faiz is the name of a person  who is sacrificing her life   for the development of the disable person, daughter of late Mr. Jalal uddin Ahhamed and Mrs Jebunehar. From the childhood she was very kindfull & cordiale for the helpless people. Doing something for the helpless people was the dream of her. Bilkis joined a Mentally Disable School under Swid Bangladesh in 1993. The students of Swid Bangladesh find there mother love from Bilkis there. Day by day those students were  becoming better by touching Bilkis loving hand.
Among with she established her own institution named PBPS wich situated at north Balubari Dinajpur Reg No: 1801/04. To honoring her concept Somajseba Odhedotor Of Bangladesh government submit her their registration 2004. Then Jubo unnon odhedoptor also submit registration to PBPS in 2010. Among with Mohela Odhedoptor Dinajpur gave registration to PBPS in 2012.  Not only that but also many rich people who are kindfull they rise there helping hand and work with PBPS. Now a days this school serve 110 disable student by free of cost and giving the opportunity to lead there life as usual flow. This school contributing a large to establishing disable people’s right  also. Most of the people of that territory are well-known about PBPS activities rather than this school don’t get any fund or loses tic support. Bilkis bear all of costs of this institution by her own finance. To fulfilling the dream of this institution it need to get some governmental & nongovernmental help.         

Our Dream

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে আত্মৎসর্গকারী বিলকিস আরা ফয়েজ

পিতা জালাল উদ্দিন আহমেদ ও মা জেবুন নেহার এর মেয়ে বিলকিস আরা ফয়েজ। খুব ছোট থেকেই স্পষ্টবাদী স্বভাবের। কিন্তু মনের গভীরে ধারণ করে রেখেছিল মানবসেবার এক অন্যান্য দৃষ্টান্ত। দিনাজপুর জেলার পৌরসভা এলাকায় বালুবাড়ীতে জন্মগ্রহন করে বালুবাড়ীতে বেড়ে উঠা। জীবন পরিক্রমায় মানবসেবার ব্রত নিয়ে যোগদান করে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সুইড বাংলাদেশে ১৯৯৩ইং সালে। মাতৃত্বের আবহে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আগলে রেখেছিল সুদীর্ঘকাল। শিক্ষার্থীরা যেন মমতা খুঁজে পেয়েছিল মাতৃস্নেহের স্বাদ। তাইতো তারাই হাত ধরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধিকতাকে জয় করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কৃতিত্ব অর্জন করতে থাকে শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ জীবনের অপরাপর ক্ষেত্রে। 

পৌর এলাকায় প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা প্রচুর থাকার পাশাপাশি আরও একটি প্রতিষ্ঠান নিজ অর্থায়নেও মেধা দিয়ে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও পূনর্বাসন সংস্থা নামে শহরের বালুবাড়ী এলাকায় গড়ে তোলা হয় অধিকার বঞ্চিত প্রতিবন্ধী শিশুদের একটি প্রতিষ্ঠান।

মানবসেবার সদস্য ইচ্ছা থেকে এবং সমাজসেবার এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর ২০০৪ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়কে নিবন্ধিত করেন। এছাড়াও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে ২০১০ইং সালে এবং মহিলা অধিদপ্তর, দিনাজপুর হতে ২০১২ইং সালে রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত হয়। শুধু তাই নয়, সমাজের দানশীল ও সমাজসেবকরাও এগিয়ে আসেন মহৎ কর্ম প্রচেষ্টায় শামিল হতে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ১১০ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী প্রায় বিনা খরচে পড়াশুনা করে সমাজের মূল শ্রোতধারায় মিশবার সুযোগ পাচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়টি প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়ও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

এলাকায় অনেকেই এক নামে চেনে ও জানে ‘‘প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পূনর্বাসন সংস্থা’’ প্রতিষ্ঠানকে। জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি উন্নয়ন কাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব করছে প্রতিষ্ঠান। এতদসত্ত্বেও কোন সরকারি বা বেসরকারি সহযোগী সংস্থার অনুদান ছাড়াই শুধু ব্যক্তি উদ্যোগে চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড। প্রতিষ্ঠানটির স্বপ্ন বাস্তবায়নে আজ প্রয়োজন সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা। তাহলেই সম্ভব হবে বিলকিস আরা ফয়েজ-এর হৃদয়ের গভীরে লালিত প্রতিবন্ধী শিশুদের উন্নয়নের স্বপ্ন বাস্তবায়ন। উল্লেখ্য যে, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত হলেও সমাজের মূল স্রোতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীসহ অপরাপর প্রতিবন্ধীদের একীভূত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও পূনর্বাসন সংস্থা। বর্তমানে যে সমস্ত কার্যাবলী পরিচালিত হচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :-

* ছাত্র/ছাত্রীদের বিশেষ শিক্ষা, ভোকেশনাল ট্রেনিং, স্পীচ্ থেরাপী, ফিজিও থেরাপীর মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া হয়। 

কার্যক্রমঃ

·       অভিভাবকদের কাউন্সেলিং কার্যক্রম।

·       অধিকার ভিত্তিক বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন।

·       চিকিৎসা ও নির্যাতিত প্রতিবন্ধীদের আইনি সহায়তা।

·       প্রতিবন্ধী অধিকার বিষয়ক এ্যাডভোকেসী কাজ।

·       সচেতনতা সৃষ্টির জন্য, আলোচনা সভা সেমিনার করা হয়।

·       মোমবাতি তৈরির প্রশিক্ষণ।

·       সেলাই মেশিনে কাজ করা।

·       সমাজসেবা অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হইতে ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় প্রতিবন্ধী ছাত্র/ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে পুরস্কার অর্জন।

·       ৪র্থ জাতীয় অটিজম সচেতনতা দিবস এ অংশগ্রহণ।

·       মাতৃভাষা দিবস উদযাপন।

·       আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন।

·       বার্ষিক বনভোজন।

·       প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের বাস্তবতার সহায়তা।

·       জি, আর, এ প্রতিবন্ধী ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে চাল বিতরণ।

·       দুঃস্থ প্রতিবন্ধীদের শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ।

·       ঈদ উপলক্ষে সেমাই, চিনি ও মাংস বিতরণ।

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সীমিত বুদ্ধিমত্তার অধিকারী। এই সীমিত বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে তাদের পুনর্বাসিত করতে হয়। বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের সীমিত বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানোর জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে শিক্ষা দেয়া হয়। বিশেষ শিক্ষায় কারিক্যুলাম ও শিক্ষার পদ্ধতি উভয়ই বিশেষ বিবেচনায় নির্বাচন করতে হয়। এ শিক্ষার চূড়ান্ত লক্ষ থাকে তাকে কোন কাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা। এ কাজের যোগ্যতা একদিকে ব্যক্তিকে নিজের ব্যক্তিগত কাজে দক্ষ করে তোলে অপরদিকে উপার্জনমুখী কাজে দক্ষ করে তোলে।