এনজিও সম্পর্কে
ভৌগলিক ভাবে দিনাজপুর শহর ২৫ ডিগ্রি ১৪ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৫ ডিগ্রি ৩৮ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ০৫ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমা হতে ৮৫ ডিগ্রি ২৮ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দিনাজপুরের আবহাওয়া মোটামুটি সমতাপূর্ন, স্নিগ্ধ ও মনোরম। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির দিক থেকে শহরটি বসবাসের জন্য বেশ উপযোগী।
পুর্নভবা নদীর পূর্ব তীরে গড়ে উঠা দিনাজপুর শহরের মধ্য দিয়ে ঘাঘরা ও গিরিজা খাল চলে গিয়েছে। ঘাঘরা একটি নদী হলেও ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দের হিমালয়ের প্রচন্ড ভূমি ধ্বশে উৎসমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে তা খালে পরিনত হয়েছে। সারা বছর এতে কোন স্রোত না থাকলেও বর্ষাকালে ঘাঘরা শহরের পুঞ্জিভুত সব আর্বজনা ধুয়ে মুছে সাফ করে। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দে মহারাজা গিরিজানাথের অর্থায়নে সুইহারী, রামনগর, বালুয়াডাঙ্গা, কুঠিবাড়ীর ধার দিয়ে খামার ঝাড় বাড়ী হয়ে ঘুঘুডাঙ্গা পর্যন্ত আরেকটি খাল খনন করা হয় যা গিরিজা খাল নামে পরিচিতি। এছাড়াও দিনাজপুরের রাজপরিবারের সদস্যগন এখানে রামসাগর, মাতা সাগর, সুক্ সাগর, আনন্দ সাগর, পদ্ম সাগর প্রভৃতি মনোমুগ্ধ দীঘিগুলো খনন করেন। শহরের মধ্যস্থলে অবস্থিত গোর- এ শহীদ ময়দান যার আয়তন ৮০ হাজার বর্গগজ যা দেশের আর কোন জেলা শহরে নাই। আয়তকার, সমান সমতল ও কোমল সবুজ দূর্বাদলে আচ্ছাদিত এই মাঠকে মনে হয় একটি বিরাট সবুজ বাগিচা।
দিনাজপুর জেলার গোড়া পত্তন ১৭৯৩ সালে। এর পূর্বে সমগ্র দিনাজপুর ঘোড়াঘাট সরকারের (জেলা) অর্ন্তভূক্ত ছিলো। ১৭৬৫ সালে নবাব পক্ষীয় ফৌজদার মীর করম আলী শাহ ইংরেজ সেনাপতি মি. কোট্রিল এর নিকট পরাজিত হলে ঘোড়াঘাট নগরের পতন ঘটে। একই সময় ইংরেজদের দ্বারা দিনাজপুর জমিদারীও অধিকৃত হয়। তখন দিনাজপুরের অধিপতি ছিলেন রাজা বৈদ্যনাথ। নবাবী শাসন অবসানের পর দিনাজপুর মৌজায় অবস্থিত দিনাজপুর রাজ বংশের রাজধানীকে ঘিরে ধীরে ধীরে দিনাজপুর শহর গড়ে উঠে।