লগ ইন
 

Logo

পল্লীশ্রী এর প্রকল্প সমূহ

বিবাহিত কিশোরীদের ক্ষমতায়নের উদ্যোগ প্রকল্প (ইমেজ প্লাস)

পল্লীশ্রী নীলফামারী জেলা সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে ডিসেম্বর ২০১৪ইং হতে ইমেজ (ইনিশিয়েটিভস ফর ম্যারিড এ্যাডলোসেন্ট গার্লস এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্পটির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। বিবাহিত কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকারসমূহ, শিক্ষা, জীবিকায়ন, পুষ্টি এবং জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা হ্রাস বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় উন্নয়ন সহযোগিতার মাধ্যমে ক্ষমতায়িত করা।

নারীর সিদ্ধান্ত নারীর অংশগ্রহন।

বাংলাদেশের নারীরা পরিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিধি-বিধান ও সৃষ্ট কুসংস্কার দ্বারা বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রিত।বিভিন্ন প্রতিবেদন ও উৎস সমুহে নারী নির্যাতনের ধরন দেখে অনুমান করা যায় যে, নারীরা নিজেদের পরিবারেও নিরাপদ নয় এবং পারিবারিক সহিংসতা একটি সাধারন বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে।এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে 2004 সালে “আমরাই পারি” ক্যাম্পেইন যাত্রা শুরু করে। “আমরাই পারি” ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন কালীন সময়ে আমরা দেখেছি যে, নারীরা ক্রমান্বয়ে তাদের কথাবার্তা পরিবর্তন করে, ইতিবাচক উদ্যোগসমুহ সমাজ পরিবর্তনে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং নারীদের অধিকার প্রতিষ্টিত হয়। কিন্তু এই অর্জরন ও পরিবর্তন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নারীরা তাদের সমতা নিশ্চিত করতে পারে না।অথচ পুরুষরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রভাব নিয়ে বসবাস করছে। এই কারনে নারীরা পরিবারিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাধীনতা পাচ্ছে না এবং অন্যদের প্রভাবিত করতেও সক্ষম হচ্ছে না। অধিক সংখ্যক নারী আত্মবিশ্বাস নিয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে না। এই সুনির্দিষ্ঠ কারনে নারীদের নেতা হিসেবে সক্ষম ও নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করে নারীদের ক্ষমতা ধরে রেখে পরিবার ও সমাজে নারীদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পল্লীশ্রী সংগঠন অক্সফ্যাম-বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় “লেট হার ডিসাইড এন্ড পারটিসিপেট” (এলএইচডিপি)প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে। পল্লীশ্রী  2012 সালের অক্টোবর মাস থেকে 03 জন স্টাফ এবং দিনাজপুর সদর উপজেলা এবং নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে। বর্তমানে প্রকল্পটি তার লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রম হলো- আড্ডাদল ও কিশোর-কিশোরী দল তৈরী, দলীয় সভা, দম্পতি সভা, নেটওয়র্কিং সভা, শেয়ারিং সভা, বিভিন্ন ইস্যুতে ওরিয়েন্টেশন ও প্রশিক্ষণ, নারী উদ্যোক্তা তৈরী, গণশুনানী, গোলটেবিল বৈঠক ইত্যাদি।

আমি এক এবং অনেক।

এ প্রকল্পের মূল কথা হল যে সরকার, নেতা, বিভিন্ন স্তরের জনগণের ব্যক্তিগত আচরণ এবং অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে অবশ্যই স্থায়ীত্বশীল পরিবর্তন অর্জন করা সম্ভব। এই কার্যক্রমের বিশেষ গুরুত্ব হল বর্তমানে ধর্মীঢ সংস্কৃতিভিত্তিক অসহিষ্ণুতা ও বৈষম্য প্রতিরোধে ধর্মীয় বৈচিত্র এবং আদিবাসী দলের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করে তাদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। জেন্ডার সমতা এবং সামাজিক সম্প্রীতির ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য যুব সমাজ গতানুগতিক নেতা, ধর্মীয় নেতা, এবং স্থানীয় কাঠামোর মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং ধর্মে বিশ্বাসী নয় তাদের বৈষম্যের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য যুব মিডিয়া ব্যক্তিত্বর দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য পাবলিক মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যুব নেটওয়ার্ক তৈরী হবে। যুব স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্বুদ্ধ করে কমিউনিটি বেসড মানবাধিকার ফোরাম গঠনের মাধ্যমে স্থানীয় অংশীদারিত্ব শক্তিশালী হবে। সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করে সংখ্যা লঘু এবং নারীদের উৎসাহিত ও শক্তিশালী করণের মাধ্যমে স্থানীয়, জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে অংশীদারিত্ব তৈরী হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গৃহীত ক্যাম্পেইন সমূহে সকল ধরণের স্টেকহোল্ডারগণ যুক্ত হবে যেমন: মুসলিম পরিবারের সমতা এবং ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা ক্যাম্পেইন এবং ইউনেসকো কর্তৃক গৃহীত বিশ্বব্যাপী প্রচার মাধ্যম ও জেন্ডার ক্যাম্পেইন। (বেইজিং প্লাটফর্ম ফর এ্যাকশন এমডিজি-3)

সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনস স্ট্রেংদেন ডেমোক্রাটিক গভার্নেন্স (সিএসওএসডিজি)

প্রকল্পটি স্থানীয় জনগণ ও সিভিল সোসাইটির এবং সামাজভিত্তিক সংগঠন সমূহের সমষ্টিগত পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি, দক্ষতা বৃদ্ধি, গণতান্ত্রিক কথাবার্তায় অংশগ্রহন, গবেষণা এবং এ্যাডভোকেসী করা। প্রকল্পটি মূলত সুশীল সমাজের দায়িত্ব কর্তব্য সমূহকে বৃদ্ধি করা যাতে কারে তারা সরকারি সেবাদানকারী কার্যক্রম সমূহের সুশাসন ও জবাবদিহিতার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সিভিল সোসাইটির মানুষদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সুন্দর সম্পর্ক তৈরী হবে যাতে করে স্থানীয় প্রশাসন জনগণের সিভিল সোসাইটির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি সেবার হাত বাড়িয়ে  দেয়। প্রকল্পর আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় আঞ্চলিক, জাতীয় পর্যায় এবং সিভিল সোসাইটির মাঝে দক্ষতা ও কার্যকরী মান উন্নয়ন এর ফলে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং সকলের মাঝে সমন্বয় সাধন বিদ্যমান থাকবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিকারকে একেবারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে যাতে করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সরকারের বিভিন্ন সেবা সুযোগ নিয়ে সুস্থ্য জীবন যাপন করবে। প্রকল্পটি একেবারে মাঠ পর্যায় হতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষদের নিয়ে সিএসও তৈরীর মাধ্যমে পরিবার হতে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত তাদের জন্য যে প্রাপ্ত খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে সেগুলোতে তাদের অনুপ্রবেশ ঘটবে এবং আর্থ সামাজিক মান উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্রতার হার কমে আসবে এবং সমাজে সুশাসন প্রতিষ্টা হবে।

নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি প্রকল্প

পল্লীশ্রী একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন যা 1987 সাল থেকে দরিদ্র পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন আর্থসামাজিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে উত্তর বঙ্গের দিনাজপুর দিনাজপুর জেলার 06টি উপজেলায় বিশেষ করে নারীদের নেতৃত্ব উন্নয়নসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জেন্ডার বৈষম্য হ্রাস, স্থানীয় সম্পদসমূহের সুষ্ঠু ব্যবহার, নারী নির্যাতন বিশেষ করে পারিবারিক নির্যাতন বন্ধ এবং সেবাপ্রদানকারী সংস্থা সমূহ হতে সুযোগ ও প্রাপ্ত সেবা সমূহ নেওয়া এবং বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী কাঠামো গুলোতে নারীর প্রবেশাধিকার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।

মজুরী বিহীন গৃহস্থালী কাজ মূল্যায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নারীর ক্ষমতায়ন।

পল্লীশ্রী একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন যা 1987 সাল থেকে দরিদ্র পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন আর্থ সামাজিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে দিনাজপুর, রংপুর, নীলফামারী ও জামালপুর জেলার 04টি উপজেলায় বিশেষ করে নারীদের গৃহস্থালী কাজের মূল্য একেবারেই নেই বললেই চলে অথচ এই কার্যক্রমের পিছনে নারীদের দিনের বিশেষ একটি অংশ ব্যয় হয় এবং যে সকল নারী কর্মজীবি তাদেরকে বাড়ীর গৃহস্থালী কাজ সহ কর্মস্থলের সকল কাজ করতে হয়। ফলে নারীর প্রতি কাজের বোঝা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু অদ্যবধি এর কোন স্বীকৃতি নেই এবং এই কাজগুলোকে মূল্যহীন ভাবে গন্য করা হয়। নারীদের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি ও রাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মক্ষম করে গড়ে তোলার এবং এই সকল কাজের স্বীকৃতিসহ মূল্য আদায়ের জন্য এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে সেনসেডাইজেশন মনোভাব বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রকল্প বিশেষ ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিতে অতিদরিদ্র জনগণের অধিকার ও প্রবেশাধিকার সুনিশ্চিতকরণ।

  • বাংলাদেশ সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় আদিবাসী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সর্বোচ্চ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হিসাব বিবেচনা করা হয়েছে। স্বল্প আয়, সামাজিক বিচ্ছন্নতা, শিক্ষার অভাব এবং অধিকার ও বরাদ্দ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব আদিবাসী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও দুঃস্থ মানুষের আর্থিক ও সমাজ সেবামূলক কার্যক্রম প্রবেশের পথে অন্তরায় যা তাদের টেকসই জীবিকা অর্জন ও মানবাধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
  •   সরকার অতিদরিদ্রতা ও দুঃস্থতা কমিয়ে আনার মাধ্যম হিসাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে বেছে নিয়েছে, যা জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মকৌশল 2015 তে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।
  • উল্লেখ্য যে, ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ইনকাম এন্ড এক্সপেন্ডিচার সমীক্ষার (এইচআইস 2001) তথ্যে দেখা যায়, একটি বড় অংশের দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে প্রবেশাধিকার নেই। অধিকিন্তু, বরাদ্দকৃত ফান্ডের একটি বড় অংশ দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষের কাছে পৌঁছায় না এবং কর্মসূচির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উপকারভোগী দরিদ্র নয় (2000 সালে 18%, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মকৌশল 2015)
    সরকারের মূল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গুলোতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে, যেখঅনে সঠিক মানুষ বিশেষতঃ অতিদরিদ্র এবং দুঃস্থ মানুষ যেন বরাদ্দ পায় এবং সঠিক পরিমাণে গ্রহন করতে পারে এর উপরে বেশী গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

কাঠামোগত দারিদ্র দূরীকরণের মাধ্যমে প্রান্তিক পরিবারের সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ (সম্মান)।

ডিসেম্বর 2011 থেকে এপ্রিল 2015ইং পর্যন্ত স্টেপ আপ প্রকল্প সাফল্যজনকভাবে শেষ করার পর পল্লীশ্রী মে 2015 ইং থেকে লক্ষিত উপকারভোগীদের নিয়ে সম্মান প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ করছে। প্রকল্পের প্রধান কাজ হল লক্ষিত প্রান্তিক পরিবারগুলো এবং তাদের আত্মনির্ভরসংগঠনসমূহের সক্ষমতা এবং বিভিন্ন  ঝুঁকি কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতাবৃদ্ধি কারণ সংশ্লিষ্ট সদস্যদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রসার এবং তাদের পুষ্টির অবস্থার স্বার্থক উন্নতি ঘটবে সেই সাথে তারা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে অপুষ্টি এবং পল্লীশ্রী সম্মান প্রকল্প 1851 পরিবারের ক্ষুধা ও অপুষ্টি নিবারণের অবদান রাখবে।

দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে দরিদ্র পরিবারসমূহের সম্পদ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচি

সমৃদ্ধি কর্মসূচি দাতা সংস্থা পিকেএসএফ ও সংগঠনের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত একটি কর্মসূচি। এই কর্মসূচিটি বর্তমানে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ফরাক্কাবাদ ইউনিয়নে কাজ করে যাচ্ছে সেপ্টেম্বর 2014ইং থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত। সমৃদ্ধি কর্মসূচি দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে, যাতে এসকল মানুষ টেকসই দারিদ্রবিমোচনের সাপেক্ষে আর্থ-সামাজিক ক্রম-উন্নতির পথে টেকসইভাবে এগিয়ে চলতে পারেন এবং মানব মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। একই সঙ্গে, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ভৌত, পরিবেশগত বিষয়সহ বিভিন্ন কম্পোনেন্টের সমন্বয়ে সমন্বিত একটি গতিশীল কর্মসূচিই হচ্ছে সমৃদ্ধি কর্মসূচি। এই কর্মসূচি দরিদ্র মানুষের টেকসই উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, শিক্ষা ও কমিউনিটি পর্যায়ে উন্নয়নমূলক কাজ যেমন- অগভীর নলকুপ স্থাপন, সাঁকো নির্মাণ, ঔষধি, ফলজ, ফুল গাছ রোপন ও সবজি বাগান এবং আর্থিক সহায়তাসহ উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের উপর সচেতনতামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই কর্মসূচিটি ছোট আকারে একটি কমিউনিটিকে বেছে নিয়ে ঐ কমিউনিটির সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত কম্পোনেন্টের উন্নয়ন সাধনে একইসাথে কাজ করে যাচ্ছে।

ঋণ ও আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি

ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনৈতিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে লক্ষিত জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।

কাঠামোগত দারিদ্র দূরীকরণে প্রান্তিক পরিবারসমূহের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (আমাদের)

পল্লীশ্রী একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন যা 1987 সাল থেকে দরিদ্র পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর জেলার 05টি উপজেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আয় ও খাদ্য নিরাপত্তায় অত্যন্ত অনগ্রসর মানুষ তারা বিভিন্ন উৎপাদনমূলক সম্পদ ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধি করবে এবং তা টেকসই হবে।

  • ইউনিয়ন ভিত্তিক ফেডারেশন তৈরীর মাধ্যমে অতি দরিদ্র মানুষগুলির ক্ষমতায়িত করা।
  • প্রকল্পের উপকারভোগীদের সঞ্চয়ের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ ও সঞ্চয়ের ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের উন্নয়ন ঘটানো।
  • উপকারভোগীদের আয়বর্ধনমূলক কাজের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করে পরিবারগুলির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
  • স্থানীয় সম্পদের ব্যবহার বিষয়ে উপকারভোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও উদ্বুদ্ধ করা।
  • উপকারভোগীরা প্রকল্পের সাথে সংযুক্ত হয়ে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের সেবাসমূহ সমন্ধে জানতে পারা ও যথাযথ নিয়মে আবেদন করার মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করা।
  • প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর যাতে নিজেরা নিজেদের অধিকার সমন্ধে জানতে পারে এজন্য প্রকল্প থেকে বিভিন্ন ধরণের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা।