লগ ইন
 

Logo

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইডএন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট ব্লাস্ট এর প্রকল্প সমূহ

সিএলএস প্রজেক্ট

১। পরামর্শ প্রদানঃ  

যে কোনো ব্যক্তি আইন সংক্রান্ত সমস্যার জন্য ব্লাস্ট অফিসে আসলে তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয় । পরামর্শ প্রদানের ক্ষেত্রে দরখাস্তকারীর আর্থিক সামর্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা করা হয় না । এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

২। সালিশ আয়োজনঃ  

আবেদনকারীর আবেদনের ভিত্তিতে নোটিশের মাধ্যমে ধার্য্য তারিখে প্রতিপক্ষকে উপস্থিত হতে বলা হয় । উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে সালিশের চেষ্টা করা হয় । পর পর তিনটি নোটিশ পাওয়ার পরেও প্রতিপক্ষ সালিশে উপস্থিত না হলে বা সালিশ বৈঠকে মীমাংসা না হলে প্যানেল আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করা হয় । সালিশের ক্ষেত্রে দরখাস্তকারীর আর্থিক সামর্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা করা হয় না । এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

৩। মোকদ্দমা দায়ের ও পরিচালনাঃ 

সালিশ বৈঠকে মীমাংসা সম্ভব না হলে বা যদি দেখা যায় যে, আবেদনকারী ইতোপূর্বে স্থানীয় ভাবে সালিশের চেষ্টা করেছিলো কিন্তু সফল হয় নাই সেক্ষেত্রে আবেদনকারীর আর্থিক সামর্থের বিষয়টি বিবেচনা করে তার পক্ষে সরাসরি মোকদ্দমা দায়ের করা হয় । এক্ষেত্রে, মোকদ্দমার যাবতীয় ব্যয় ব্লাস্ট বহন করে ।

তবে, বন আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র আইন, এসিড অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইন, যৌতুক নিরোধ আইনের ১ নং আসামী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে কোনো আসামীর পক্ষে ব্লাস্ট মোকদ্দমা দায়ের ও পরিচালনা করে না । কিন্তু, আদিবাসীদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য।

৪। মানবাধিকার সম্পর্কিত আইন সচেতনতা সভা আয়োজনঃ    

ব্লাস্ট তার সহযোগী সংস্থা গুলোর কর্ম এলাকায় গিয়ে আইন সচেতনতা সভা আয়োজন করে । একজন মহিলা আইনজীবী উক্ত সভায় তাদের বিভিন্ন আইন সম্পর্কে অবহিত করা হয় । প্রতিটি সভায় ৩০/৪০ জন মহিলা উপস্থিত থাকেন । প্রতি বছর ৪০ টি সভা আয়োজন করা হয়।

৫। তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানঃ 

দিনাজপুর জেলার মানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত ঘটনা পরিদর্শন ও তথ্যানুসন্ধানের জন্য ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি ন্যায় বিচার ফোরাম রয়েছে । সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, জন প্রতিনিধি, শিক্ষক, ডাক্তার, এনজিও প্রতিনিধি এবং ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে । তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানের বিষয়গুলো হলো-

  • আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক দুর্ব্যবহার/নির্যাতন/হত্যার অভিযোগ
  • বস্তি উচ্ছেদ, রাজনৈতিক হত্যা, জেল বা পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু
  • সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার লঙ্ঘন
  • নারী ও শিশু অধিকার লঙ্ঘন
  • শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন
  • আদিবাসী, প্রতিবন্ধী এবং দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার লঙ্ঘন
  • জাতিগত, ধর্মীয়, ভাষা ও যৌন ভিত্তিক সংখ্যালঘু নির্যাতন 
  • পারিবারিক সহিংসতা
  • যৌন হয়রানী
  • যে কোনো ধরনের বৈষম্যমূলক ঘটনা
  • আদালতের নির্দেশে প্রদত্ত যে কোনো বিষয়
  • মানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত অন্যান্য বিষয় ইত্যাদি।

ন্যায় বিচার ফোরামের বছরে চারটি সভা আনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় দিনাজপুর জেলায় উপোরক্ত কোনো ঘটনা ঘটলে তা তথ্যানুসন্ধান করা প্রয়োজন কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও, এতোমধ্যে কোনো বিষয়ের উপর তথ্যানুসন্ধান করা হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন কিনা তা সভায় উক্ত কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হয়।   

৬। সভা আয়োজনঃ  

৬.১। এডভোকেসী সভা আয়োজনঃ   

ব্লাস্ট দিনাজপুর ইউনিট সরকারী আইনগত সহায়তা কমিটি- এর সহায়তা প্রদানের বিষয়টি সম্পর্কে জনসচেনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জেলা এবং উপজেলা পর্যায় ‘এডভোকেসী সভা’ আয়োজন করে থাকে ।

৬.২। অধিকার সচেতনতা সভা আয়োজনঃ

সাধারন মানুষকে তাদের অধিকার ও দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় আইনসমূহ সম্পর্কে সচেতন করে তোলার জন্য ‘অধিকার সচেতনতা সভা’ আয়োজন করা হয়।

৬.৩। ইস্যু রেইজিং সভা আয়োজনঃ  

কোনো নির্দিষ্ট এলাকার সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সেই লক্ষ্যে ঐ এলাকায় কাজ করার জন্য সে বিষয়ের সঙ্গে স্থানীয় জনগনকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ইস্যু রেইজিং সভা আয়োজন করা হয়।

৬.৪। বিজ্ঞ বিচারকগনের সমন্বয় সভা আয়োজনঃ  

ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলা আদালতগুলোতে বিজ্ঞ বিচারকগনের সঙ্গে সমন্বয় সভা আয়োজন করে থাকে।   

৬.৫। নেটওয়ার্কিং সভা আয়োজনঃ  

ব্লাস্ট তার কার্যক্রম সফল করার উদ্দেশ্যে এবং পারষ্পরিক সহযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগনকে নিয়ে নেটওয়ার্কিং সভা আয়োজন করে। মূলতঃ যে প্রতিষ্ঠানগুলো মাঠ পর্যায় কাজ করে ব্লাস্ট তাদের মাধ্যমে উপকারভোগীর আগমন নিশ্চিত করে। এর পাশাপাশি, আইন সহায়তা ছাড়াও অনেক উপকারভোগীর বিভিন্ন ধরনের সেবা যেমন, ফোউজদারী মামলা করার জন্য থানায় যোগাযোগ, চিকিৎসা সেবা গ্রহণ, স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ এসবের প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্কিং সভা আয়োজনের মাধ্যমে ব্লাস্ট উপকারভোগীদের এই সেবা প্রাপ্তির বিষয়গুলো নিশ্চিত করে।   

৬.৬। উপকারভোগীগনের সঙ্গে মত বিনিময় সভা আয়োজনঃ  

ব্লাস্টের উপকারভোগীগন সেবা গ্রহণের পর কেমন আছেন অথবা বর্তমানে সেবা গ্রহণকালীন সময়ে কোনো সমস্যা অনুভব করছেন কিনা তা জানার জন্য মত বিনিময় সভা আয়োজন করে থাকে। 

৬.৭। প্যানেল আইনজীবীগনের সঙ্গে মত বিনিময় সভা আয়োজনঃ       

ব্লাস্টের মামলাগুলো মূলতঃ প্যানেল আইনজীবী দ্বারা পরিচালিত হয়। মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে প্যানেল আইনজীবীগনের কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা, মামলার গতি ত্বরান্বিত করার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন কিনা এসব বিষয় জানার জন্য প্যানেল আইনজীবীগনকে নিয়ে প্রতি বছর দুইটি মত বিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। প্যানেল আইনজীবী সম্পর্কে উপকারভোগীদের কোনো অভিযোগ থাকলে তা উক্ত সভায় প্যানেল আইনজীবীগনকে অবহিত করা হয়।    

৬.৮। ‘মউ’ পার্টনারদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা আয়োজনঃ    

ব্লাস্ট দিনাজপুর ইউনিট ছয়টি বেসরকারী সংগঠনের সঙ্গে ‘মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ (মউ) সম্পাদন করেছে। এর আওতায় ব্লাস্ট উক্ত বেসরকারী সংগঠন গুলোর কর্ম এলাকায় গিয়ে আইন সচেতনতা সভা আয়োজন করে । আয়োজিত সভাগুলো কীভাবে আরো ফলদায়ক করা যায় সে লক্ষ্যে ‘মউ’ পার্টনারদের নিয়ে প্রতি বছর রিভিউ মিটিং আয়োজন করা হয়। 

৬.৯। ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি’ র সঙ্গে মত বিনিময় সভা আয়োজনঃ       

বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ৫/৭ সদস্য বিশিষ্ট নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি’ রয়েছে। কমিটিগুলোকে কার্যকর করার জন্য তাদেরকে নিয়ে ব্লাস্ট মত বিনিময় সভা আয়োজন করে। উক্ত সভায় কমিটির সদস্যগনকে বিভিন্ন আইন সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি সহিংসতার শিকার নারীদের আইন সহায়তা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ব্লাস্টে প্রেরণের পরামর্শ দেওয়া হয়।  

৬.১০। মিডিয়ার সঙ্গে মত বিনিময় সভা আয়োজনঃ       

ব্লাস্টের অগ্রগতি কার্যক্রম উপস্থাপন এবং এ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহনের জন্য প্রতি বছর জেলা পর্যায়ের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সঙ্গে মত বিনিময় করা হয়। 

৭। প্রশিক্ষণ আয়োজনঃ 

ব্লাস্ট দিনাজপুর ইউনিট ইউনিয়ন পর্যায়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের গ্রাম আদালত ও সালিশ পদ্ধতির উপরে, সম্মানিত বিচারক, বিজ্ঞ প্যানেল আইনজীবী এবং আইন সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তাগনকে নিয়ে দেশে প্রবর্তিত নতুন নতুন আইন বিষয়ে (যেমন, শিশু আইন ২০১৩ ও প্রবেশন আধ্যাদেশ ১৯৬০) এবং এনজিও প্রতিনিধিগনের জন্য দেশে প্রচলিত ও বিদ্যমান প্রয়োজনীয় আইনের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে । এছাড়াও, ব্লাস্ট দিনাজপুর ইউনিট ন্যায় বিচার ফোরামেরর সম্মানিত সদস্যগনের জন্য প্রতি বছর ‘তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধান এবং মানবাধিকার বিষয়ক’ প্রশিক্ষণ আয়োজন করে থাকে।

৮। আইন সহায়তা মেলা আয়োজনঃ

ব্লাস্ট দিনাজপুর ইউনিটের পক্ষ থেকে প্রতি বছর আইন সহায়তা মেলা আয়োজন করা হয়। উপজেলা বা থানা পর্যায় আয়োজিত এক দিন ব্যাপী এই মেলায় অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোও অংশগ্রহণ করে। মেলায় অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে স্টল দেওয়া হয়। মেলায় আলোচনা সভা আয়োজনের পাশাপাশি স্কুল পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপস্থিত  বক্তৃতা এবং কলেজ পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। মেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী বিষয় ভিত্তিক নাটক উপস্থাপন করে।

৯। মেলায় অংশগ্রহণঃ

ব্লাস্ট দিনাজপুর ইউনিটের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড ডে মেলা, তথ্য মেলা, আদিবাসী মেলা সহ সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত অন্যান্য মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করা হয়। মেলাগুলোতে স্টল দিয়ে আইন সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

১০। দিবস উদযাপনঃ 

ব্লাস্ট দিনাজপুর ইউনিটের পক্ষ থেকে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস, আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ইয়াসমীন ট্রাজেডী দিবস, তাজরীন ট্রাজেডী দিবস, রানা প্লাজা ট্রাজেডী দিবস আয়োজন ও অংশগ্রহণ করা হয়। এই উপলক্ষে মানব বন্ধন, র‍্যালী, আলোচনা সভা ইত্যাদি আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি, অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের আমন্ত্রণে আরো বিভিন্ন দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ করা হয়।

IRSOP প্রজেক্ট

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং GIZ এর যৌথ প্রকল্প ‘Improvment of the Real Situation of Overcrowding in Prisons in Bangladesh’ সংক্ষেপে IRSOP. এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা অধিদপ্তরের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে জুলাই/ ২০০৮ সাল থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে । প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা হিসাবে ০১ এপ্রিল, ২০১৪ সাল থেকে  বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) দিনাজপুর ইউনিট এই জেলায় দায়িত্ব পালন করছে ।

প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ

ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে কারাগার সমূহে বিচারাধীন বন্দীদের সংখ্যাধিক্য কমানো এবং কারাবন্দীদের জন্য আইনী প্রক্রিয়া সুরক্ষিত করা ।

প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যঃ

প্যারালিগ্যাল কার্যক্রমের মাধ্যমে কারাবন্দীদের বিশেষ করে, আইনের দৃষ্টিকোন থেকে যাদের বন্দীত্ব অপ্রত্যাশিত এবং অগ্রহণযোগ্য সেইসব নারী, শিশু এবং সুবিধা বঞ্চিত বন্দীদের বিচারের আওতায় আনা এবং বিচার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করে মুক্তির ব্যবস্থা করা ।

পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কারা অধিদপ্তরের সেবা ও কার্যক্রম সমুহ যুগোপযোগী ও আধুনিককরণের মাধ্যমে আরো গতিশীল করা ।

EPTALG প্রজেক্ট

পরামর্শ প্রদানঃ

এই প্রজেক্টের আওতায় দিনাজপুর ইউনিট থেকে জেলার সদর উপজেলার শেখপুরা, ফাজিলপুর, শশরা ও কমলপুর ইউনিয়ন এবং বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর, পলাশ নগর, ভোগনগর ও সাতোর ইউনিয়নের আধিবাসীদের প্রয়োজনীয় আইনগত পরামর্শ দেওয়া হয়।

সালিশ আয়োজনঃ

জেলার সদর ও বীরগঞ্জ উপজেলার উপরে উল্লেখিত ইউনিয়নের আধিবাসীদের আবেদনের ভিত্তিতে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে সালিশের চেষ্টা করা হয় । সালিশের ক্ষেত্রে দরখাস্তকারীর আর্থিক সামর্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা করা হয় না । এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে ।

মোকদ্দমা পরিচালনাঃ

দিনাজপুর জেলার সদর ও বীরগঞ্জ উপজেলার উপরে উল্লেখিত ইউনিয়ন, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর ও পীরগঞ্জ উপজেলার নারগুন, সালন্দর, জামালপুর, আউলিয়াপুর, রায়পুর, রুহিয়া, ক্ষনগাঁও, ভোমড়াদহ ইউনিয়ন এবং পঞ্চগড় জেলার সদর ও আটোয়ারী উপজেলার গরিনাবাড়ী, মাগুরা, কমল কাজল দিঘী, হাড়িভাসা, বলরামপুর, রাধানগর, আলোয়া খাওয়া ও ধামর ইউনিয়নের দরিদ্র ব্যক্তিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আবেদনকারীর পক্ষে সরাসরি মোকদ্দমা দায়ের করা হয় । এছাড়াও, দিনাজপুর জেলার যে সালিশগুলো ব্যার্থ হয় সেগুলোও মোকদ্দমা দায়ের করা হয় । মামলা দায়েরের জন্য ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায় উক্ত প্রজেক্টের আওতায় প্যানেল আইনজীবী রয়েছেন। মোকদ্দমার যাবতীয় ব্যয় ব্লাস্ট বহন করে । মোকদ্দমার মধ্যবর্তী খরচ এবং কখনো কখনো ক্লায়েন্টের যাতায়াত ব্যয়ও ব্লাস্ট বহণ করে ।