লগ ইন
 

Logo

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এর সেবা সমূহ

দরিদ্র মানুষের সন্তানদের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা

দরিদ্র মানুষের সন্তানদের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা:                                                                        

শুরু থেকেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র দেশের দরিদ্র, অবহেলিত, শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের বিদ্যালয়মুখী করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর কারিকুলাম অনুসরণ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীদের মোট ১৬৯ জন নিবেদিত প্রশিক্ষিত শিক্ষিকা দ্বারা মাতৃস্নেহে জীবন সংগ্রামে জয়ী যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য পাঠ্যপুস্তক এর বাহিরেও মুক্তিযুদ্ধ ও সমগ্র বাংলাদেশ, স্বাস্থ্য, সাহিত্য ও সাংস্কৃতি চর্চা এবং শিশুশ্রমজীবি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষা দান করা হচ্ছে যা গণ পাঠশালা নামে সুপরিচিত। গণ শিক্ষা কার্যক্রমের লক্ষ্যকে সমন্বিত রেখে এ বিভাগের বিসত্মৃতি ঘটানো হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাকৃতিক দূর্যোগপ্রবন, দুর্গম, চরাঞ্চলে অবহেলিত দরিদ্র জণগোষ্ঠি, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি সমপ্রদায়ভুক্ত এলাকায়।

গ্রামেরমহিলাদেরজন্যবৃত্তিমূলকশিক্ষা

গ্রামেরমহিলাদেরজন্যবৃত্তিমূলকশিক্ষা:

(Vocational Training Centre for Rural Women): নারী কেন্দ্রের মাধ্যেমে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র দীর্ঘদিনের প্রচলিত ধ্যান ধারনা পরিবর্তন করে সমাজে নারী পুরম্নষের  সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়্গ্যে অপ্রচলিত পেশায় নারীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যেমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিভাগে প্রশিক্ষিত হয়েই সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের  প্রথম পেশাজিবী  দক্ষ মহিলা ড্রাইভার, বয়লার অপারেটর, রড বিল্ডিং মিস্ত্রী, ঔষধ শিল্প, প্রিন্টিং এবং টেক্সটাইল মেশিন অপারেটর। শুধু মাত্র প্রশিক্ষণ প্রদানই এ বিভাগের এক মাত্র কাজ নয়  প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কর্মসস্থান সৃষ্টিসহ সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন বিষয়ে স্বাস্থ্য, নারী সমতা,  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়ও প্রশিক্ষিত করা হয়। নারী কেন্দ্র হতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মহিলা কর্মীর  মাধ্যমে গণ বেকারী, গণ শীল্পালয়, গণ কাঠকারখানা, বিস্কুট ফ্যাক্টরী, গণস্বাস্থ্য এন্টিবায়োটিক, গণস্বাস্থ্য নিমার্ণ, গণমুদ্রণ ও গণ প্রকাশনি, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস্‌ বিভাগ সমূহ পরিচালিত হচ্ছে।

এডভোকেসী

এডভোকেসী:                                                                                                                  

(Advocacy): গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্বাধীন সংগ্রামী মুক্তি যুদ্ধের সপক্ষের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। দেশের  বৃহৎ দারিদ্র জণগোষ্ঠি বিশেষ করে মহিলাদের স্বার্থ রক্ষাসহ স্বাস্থ্য, মাতৃভাষা ও  শিক্ষা, নারী উন্নয়নের কিছু সফল উদাহরন তৈরী  করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের স্বার্থ রক্ষায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র দীর্ঘ ৪ (চার) দশকের কর্মকান্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সফলতা গুলি হলো সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন, জাতীয় ঔষধনীতি, মহিলাদের জন্য চাকুরীর কোটা, মাতৃত্বকালীন ছুটি, গ্রামীণ স্বল্প শিক্ষিত মেয়েদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যেমে প্যারামেডিক তৈরী, গর্ভবতী ও শিশু মিত্যু হার হ্রাস, অধূমপায়ীতা ইত্যাদী। এসমস্ত কর্মকান্ড সরকারী নিতীনির্ধারনকে যেমন প্রভাবিত করেছে তেনমি দেশ বিদেশে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কর্তৃক প্রসংশিত ও অনুলিপিত হয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবেলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মৌলিক অবদানসমূহ হচ্ছে :

দুর্যোগ মোকাবেলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মৌলিক অবদানসমূহ হচ্ছে :

  1. দুর্গত এলাকার জনগণকে দুর্যোগকালে ত্রাণকর্মে দ্রুত সম্পৃক্ত করা, জলাশয় পরিষ্কার ও পরিবেশ উন্নয়ন।
  2. স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মৃত ব্যক্তিদের দু্রত কবর দেয়া এবং মৃত হাঁস-   

           মুরগী ও পশুপাখি মাটির নীচে চাপা দেবার ব্যবস্থা করা।

  1. স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিদিন হাতে বেলা হাজার হাজার রম্নটি তৈরি করে স্থানীয়ভাবে

           ও দূরদূরানেত্ম বিতরণ।

  1. অপুষ্টি রোধে দুর্গতদের মধ্যে উচ্চ ক্যালোরির বিস্কুট ও দুর্যোগ উত্তরকালে ফুডমি বিতরণের প্রবর্তন।
  2. স্থানীয় ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল টিমসমূহের মাধ্যমে দুর্গত মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান।
  3. বিধ্বসত্মস্কুলকে উচ্চভূমিতে পুনঃ নির্মাণ করে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে দুর্যোগকালে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার  

           করা।

কৃষিসমবায়আন্দোলন

কৃষিসমবায়আন্দোলন:                                                                                                

২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের ৫ টি উপজেলায়  সিডর বিধ্বস্থ জনপদে পূণর্বাসিত কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার সুদৃঢ় ভিত্তি দেবার লক্ষ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ”কৃষি সমবায়” বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কৃষকদের সংগবদ্ধ সমবায় গঠন করে  কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি সঠিক সময়ে স্বল্প ভাড়া/ চার্জের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।  সংগবদ্ধ কৃষি সদস্যদের কৃষি বিষয়ক যথাযথ পরামর্শ ও  প্রযুক্তি সহায়তা ও বিভিন্ন কৃষি উপকরণ কৃষকদের হাতে সময়মত পৌঁছে দেয়া হয়। কৃষি সমবায়ের মাধ্যমে  কৃষকদের কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে একটি সুদৃঢ় ভিত্তি দেবার জন্য ক্রমান্বয়ে সমবায়ের নিবন্ধনভুক্ত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ,পরিবেশ উন্নয়নের কাজও এ কার্যক্রমের সাথে সমন্বিত  করা হয়েছে।

সামাজিকবনায়নওপরিবেশউন্নয়ন

সামাজিকবনায়নওপরিবেশউন্নয়ন:                                                                               

প্রাকৃতিক পরিবেশেেও ভারসাম্য রড়্গা ও পরিবেশ উণ্নয়নের লড়্গ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তার প্রকল্প এলাকায় সামাজিক বরনায়নের অধিনে বসতভীটায় ফলজ ও বনজ গাছ, সড়ক বনায়ন, শিড়্গা প্রতিষ্ঠান, কেলস্না , সাইক্লোন শেল্টার, পাহাড় ও সমতল এলাকা বনায়ন করছে। সামাজিক বনায়নের পাশাপাশি পরিবেশ উন্নয়নের বিভিন্ন মাধ্যম যেমন পরিবেশ বান্ধব চুলা ,সৌরবাতী, আর্সিনিক মুক্ত বিশুদ্ধ পানি, বসতভীটায় নার্সারী স্থাপন ও ফলজ ও বনজ বাগান সৃজন ইত্যাদী বাসত্মবায়ন করছে।

মৌসূমীঋণকার্যক্রম

মৌসূমীঋণকার্যক্রম:                                                                                                         

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র দেশের ঝুকিপূর্ণ উপকুল, বিশেষ করে বিচ্ছিন্ন্‌ চরাঞ্চল, বন্যাকবলিত নদী ভাঙ্গন অতিদরিদ্র এলাকায় যেখানে কোন ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্টান যায়নি সে সমস্ত এলাকায় কৃষি, চাষাবাদ,গরু, ছাগল, হাসমুরগী পালন, লবনচাষ, মাছচাষ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ইত্যাদির জন্য এককালীন ফসলী মৌসুমী ঋণ ও ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে আসছে। গাইন্ধা, কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলে মৌসূমী ঋণ কার্যক্রম একটি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প যেখানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণস্বাস্থ্য সমবায় ব্যাংক ও প্রশিক্ষণসহ কৃষি সম্প্রসারনের mgš^q করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের অধীনে এ পর্যন্ত মোটঃ ১০৩৪৫০ জন প্রান্তিক চাষী  দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মহিলা ও পুরুষকে সংগঠিত করা হয়েছে। এছাড়া  কক্সবাাজর, সাভার ও সাটুরিয়ায় গ্রামীণ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ

গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ:

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের যাত্রা শুরু ১৩৭৮ সালের ১৩ বৈশাখ আর গবেষণা বিভাগের যাত্রা শুরু ১৪০৬ সালে। শুরু থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সেবপ্রদানকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেচলেছিল। কিন্তু এক সময় বুঝতে পারল যে সেবা প্রদানের পাশাপাশি এই সকল কর্মকান্ডের একটি বিজ্ঞানসম্মত সংরক্ষণ প্রয়োজন। সংরক্ষনের জন্য প্রয়োজন মান সম্মত তথ্য। আর মান সম্মত তথ্যের জন্য প্রয়োজন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন। আর এ কারনেই দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যবধানে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের জন্ম।স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকের অধীনে একজন সিনিয়র গবেষক ও দুই জন গবেষণা সহকারী নিয়ে গবেষণা বিভাগের যাত্রা শুরু। ১৪১৩ সাল থেকে একজন পরিচালকের অধীনে গবেষণা বিভাগ স্বাধীনভাবে যাত্রা শুরু করে।